Digital History Research Archive

Language Movement Archives

১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১: আত্মসমর্পণ শুরু পাকিস্তানি সেনাদের

১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। এদিন মুক্তিবাহিনী ঢাকায় প্রবেশ করে এবং মিত্রবাহিনী পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম দিক থেকে ঢাকাকে ঘিরে ফেলে। ময়মনসিংহে ১,১৩৪ জন ও সৈয়দপুরে ১০৭ জন পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে। ঢাকার আকাশ মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় পাকিস্তানি বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে। মিত্রবাহিনীর বিমান হামলার ফলে গভর্নর মালিক পদত্যাগ করেন এবং তার মন্ত্রিসভাসহ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আশ্রয় নেন। মুক্তিবাহিনী ডেমরা, রূপগঞ্জ ও খিলগাঁও এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে। এই সময় মিত্রবাহিনীর জেনারেল নাগরা মুক্তিবাহিনীর অবদানের প্রশংসা করেন। পাকিস্তানি বাহিনী চূড়ান্তভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং তাদের মনোবল ভেঙে যায়। ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনাবলি পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণকে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণাপত্র

ভাষা আন্দোলন (১৯৪৭-১৯৫২) বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পাকিস্তান গঠনের পর উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হয়, যা বাঙালিদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে অবহেলা করে। এর ফলে বাঙালিরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ করে, যা ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে চরম আকার ধারণ করে। এই দিনে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার এবং আরও অনেকে ভাষার জন্য তাদের জীবন দেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই আন্দোলন বাঙালিদের মাতৃভাষা রক্ষা এবং জাতীয় চেতনা জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভিত্তি তৈরি করে। আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়, যা ভাষার অধিকারের জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগের স্মরণ করে।

Operation Searchlight: A Military Campaign and Its Impact on the Bangladesh Liberation War"

Operation Searchlight, put on by the Pakistan Army in March 1971, was a military crackdown aimed at quelling the rising independence movement in East Pakistan (now Bangladesh). This operation, noted by extreme violence and brutality, sought to suppress political dissent and prevent the secession of East Pakistan. The operation ruled to widespread atrocities, including mass killings, forced translocation, and sexual violence, which fueled the Bangladesh Liberation War. The Pakistani military's actions begotten in significant loss of life, the displacement of millions, and the conclusive intervention of India in December 1971, which helped impervious the independence of Bangladesh. This abstract examines the causes, performance, and outcome of Operation Searchlight, highlighting its role in depicting the trajectory of the Bangladesh Liberation War and the broader South Asian geopolitical landscape. The operation remains a deeply impressionable and problematic issue in the history of South Asia, with long-lasting effects on regional relations.

শিরোমণির যুদ্ধ: খুলনায় একটি ঐতিহাসিক ট্যাঙ্ক সংঘাত

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার শিরোমণি এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সাথে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তানিরা যশোর সেনানিবাস ছেড়ে শিরোমণিতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাদের কাছে ছিল ৩২টি ট্যাংক, শতাধিক কামান, ৫ হাজার সৈন্য, এবং মাইন-বাংকারে ভরা এলাকা। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী (ভারত) যৌথভাবে আক্রমণ চালালেও প্রথম দিকে ব্যর্থ হয় । ১৬ ডিসেম্বর, মেজর মঞ্জুরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসী এক কৌশল নেন, কুয়াশার মধ্যে ট্যাংক ও কমান্ডোদের নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানিদের ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েন। ট্যাংকের উপরে উঠে স্টেনগান দিয়ে গুলি চালিয়ে, গ্রেনেড ছুঁড়ে তারা পাকিস্তানি ট্যাংক ধ্বংস করেন। এই হামলায় পাকিস্তানিরা হতভম্ব হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ১৭ ডিসেম্বর, ৩,৭০০ পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে এবং খুলনা মুক্ত হয়।

চুকনগর গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের এক অনালোচিত অধ্যায়

মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দ্বারা সংগঠিত সর্ববৃহৎ একক গণহত্যা বলা হয় চুকনগরের এ গণহত্যাকে। কিন্তু কোনো অজানা কারণে ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যায় এ গণহত্যা, খুব বেশি মানুষ এ বিষয়ে অবগত নয়